মেজর ডালিম বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন

 

 

 
 
..ডালিম বলছি
..যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি
..জীবন বৃত্তান্ত
..সমসাময়িক ভাবনা
..প্রকাশিত বইসমগ্র
..কিছু কথা কিছু ব্যাথা
..ইংরেজী ভার্সন    
 

ক্যাপ্টেন জলিলকে শাসানো হয়

 
   
 

 

সীমিত গোলাবারুদ ও অস্ত্র নিয়ে মোকাবেলা করতে ভিষণ অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছিল ক্যাপ্টেন জলিল এবং অন্যান্য অধিনায়কদের। প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ক্যাপ্টেন জলিল কোন সোর্স এর মাধ্যমে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং ভারতীয় বিএসএফ এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়। তাদের মাধ্যমে তিনি কোলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম পর্যন্ত পৌছাতে সক্ষম হন। ইষ্টার্ণ কমান্ড হেডকোয়াটার্স তাকে কিছু হাতিয়ার ও গোলাবারুদ দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ সেগুলো বরিশাল নিয়ে যাবার পথে পথিমধ্যে খানসেনাদের এক আচমকা অ্যামবুশ আক্রান্ত হয়ে কোনরকমে প্রাণে বেচে ফিরে আসেন।

প্রবাসী সরকার এবং কর্নেল ওসমানী তার এই ধরনের উদ্যোগে ক্ষেপে উঠেন। বিশেষ করে কর্নেল ওসমানী তার প্রতি ভিষণভাবে রাগান্বিত হন এবং তাকে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব থেকে অপসারনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অন্যান্য কমান্ডাররা এবং আমি ও নূর কোন রকমে কর্নেল ওসমানীকে বোঝাতে সক্ষম হই যুদ্ধের সেই প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যাপ্টেন জলিলের মতো একজন বীর এবং জনপ্রিয় কমান্ডারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে। আমাদের সবার আকুতি এবং অনুরোধে কর্নেল ওসমানী তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। কিন্তু ক্যাপ্টেন জলিলকে ঐ ধরনের উদ্যোগ ও গাফিলতির জন্য হুশিঁয়ার করে তাকে শাসিয়েছিলেন কড়াভাবে। কিন্তু আর্শ্চয্যের বিষয় হলো প্রবাসী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের একাংশ ঐ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে নাখোশ হয়েছিলেন।